সব খবর।

December 2018

নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষণ করতে আসা কয়েকজন বিদেশী পর্যবেক্ষক। রোববার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর ভিকারুন নিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে কেন্দ্রে পরিদর্শনের সময় তারা এ মন্তব্য করেন। নির্বাচন পর্যবেক্ষক সার্ক হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের আট সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের কানাডীয় পর্যবেক্ষক তানিয়া ফস্টার সাংবাদিকদের বলেন, এখন পর্যন্ত পাঁচটি কেন্দ্র ঘুরেছেন তিনি।
শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হতে দেখেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন, নিজেদের ক্ষমতায়িত মনে করছেন তারা। ফস্টার এই প্রথম বাংলাদেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে এসেছেন বলে জানান সাংবাদিকদের। ভারতের পর্যবেক্ষক গৌতম ঘোষ বলেন, ভারতের নির্বাচনের সঙ্গে বাংলাদেশের নির্বাচনের মিল রয়েছে। নির্বাচন এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ হচ্ছে বলে জানান তিনি।

প্রিয়ার চোখের ইশারা ঘুম কেড়েছিল। কখনও আবার ড্যান্সি আঙ্কেলের নাচ। একের পর এক এমন ভিডিয়ো রীতিমতো ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর কী কী রয়েছে এই তালিকায়। দেখে নিন এক ঝলকে।

চায়ে পি লো: চা খেতে বলেছেন মহিলা। গরম চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে মহিলা সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর বন্ধুদের উদ্দেশ্যে বলছেন চা খাওয়ার জন্য। এই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই ভাইরাল।

দীপক কালাল: তাঁর অদ্ভূত ছবি, অদ্ভূত অদ্ভূত পোশাক পরে ভিডিয়ো-ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করে ভাইরাল হয়েছেন। সম্প্রতি রাখি সবন্তের সঙ্গে তাঁর বিয়ের খবরও ভাইরাল হয়।
ড্যান্সিং আঙ্কেল: তিনি ইন্টারনেটের ডান্সিং সেনশেসন। গোবিন্দার গানে নেচে রাতারাতি ভাইরাল হয়ে গিয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশের সঞ্জীব শ্রীবাস্তব। আবারও তিনি হাজির। মিঠুন চক্রবর্তীর ‘জুলি জুলি’ গানের নাচ নেচে ভাইরাল ৪৬ বছর বয়সী ‘ডান্সিং আঙ্কল’।

হামিদ সফি: এগারো বছরের পাকিস্তানী ছেলেটা কলেজে দাপটের সঙ্গে পড়াচ্ছে। তার অসাধারণ বক্তব্য রীতিমতো ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
প্রিয়া প্রকাশ ভেরিয়ার: তাঁর চোখের ইশারায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিল যুব-হৃদয়। অষ্টাদশী প্রিয়া প্রকাশ ভেরিয়ারের সেই চোখের ইশারা রীতিমতো ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়।

বলিউডে বিয়ের ধুম পড়ে গেছে। এ অবস্থায় বলিউডের যাঁরা এখনো বিয়ে করেননি, প্রায়ই তাঁদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে, ‘বিয়ে করছেন কবে?’ কেউ কেউ এ প্রশ্ন শুনে বিব্রত হচ্ছেন। যাঁরা ডুবে ডুবে জল খাচ্ছেন, তাঁরা ভাবছেন, এক্ষুনি বুঝি প্রশ্নকর্তা থলের বেড়ালে হাত দেবে। কেউ আবার ভীষণ চতুর। তাঁদেরই একজন ‘বাত্তি গুল মিটার চালু’ ছবির অন্যতম নায়িকা ইয়ামি গৌতম। এই তারকা জানিয়েছেন, শিগগির ওই পথ মাড়াচ্ছেন না তিনি।
এ বছরের ক্যালেন্ডারে আর কয়টি বিয়ে যুক্ত হচ্ছে? ভারতের শীর্ষস্থানীয় এক দৈনিক এ প্রশ্ন করলে ইয়ামি হেসেই খুন। বললেন, ‘ক্যালেন্ডার তো ভরে গেছে। সেসব নিয়েই গণমাধ্যম ভীষণ ব্যস্ত সময় পার করল। আর তারিখ বাকি কোথায়? আমি কিন্তু সিঙ্গেল, আমাকে বাদ দিন। যত দিন বিয়ে না হচ্ছে, সিঙ্গেলই থাকছি। আর এক্ষুনি বিয়ের পরিকল্পনাও নেই।’

তবে কদিন আগেও সিঙ্গেল ছিলেন না ইয়ামি গৌতম। ‘সনম রে’ ছবির সহশিল্পী পুলকিত সম্রাটের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল তাঁর। দুজনেই দাবি করতেন, তাঁরা ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধু’। কিন্তু পুলকিতের স্ত্রী শ্বেতা রোহিরা বলতেন ভিন্ন কথা। বিয়ের এক বছরেরও কম সময়ে পুলকিত ও তাঁর সংসারে গন্ডগোল শুরু হয়ে যায়। শ্বেতা এর দায় চাপান ইয়ামির কাঁধে। এই অভিনয়শিল্পীই নাকি তাঁর ঘর ভাঙার জন্য দায়ী। যদিও পুলকিত বলেছিলেন, সংসার ভেঙেছে নিজেদের ভুল-বোঝাবুঝির কারণে। অন্যদিকে ইয়ামির সঙ্গে চালিয়ে নিয়েছেন শুধুই বন্ধুত্বের সম্পর্ক।

ইয়ামিকে শিগগির আবারও দেখা যাবে বড় পর্দায়। আদিত্য ধরের ‘উড়ি: দ্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ ছবিতে। এখানে তিনি একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। জানুয়ারির ১১ তারিখে মুক্তি পাবে ছবিটি। হিন্দি ‘সনম রে’, ‘ভিকি ডোনার’ ‘বাত্তি গুল মিটার চালু’ ছাড়াও কর্ণাটকি, তেলেগু, পাঞ্জাবি, মালায়ালাম, তামিলসহ বেশ কিছু ছবিতে অভিনয় করেছেন ইয়ামি গৌতম

জাতীয় নির্বাচনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়ে গেছে। বাক্যগুলো এতটাই তিক্ত ছিল যে, শেষ পর্যন্ত ঐক্যফ্রন্টের নেতারা ক্ষুব্ধ হয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) কোনো অভিযোগ জমা না দিয়ে চলে যান।
আলোচনায় সিইসি ও ড. কামাল, দুজনই ছিলেন আক্রমণাত্মক। এ পর্যায়ে অন্য নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিবালয়ের সচিব সিইসিকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। শেষ পর্যন্ত ঐক্যফ্রন্টের নেতারা সভা বর্জনের মধ্য দিয়ে ঘটনার ইতি ঘটান। সিইসি, কমিশনার বা কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তারাও তাঁদের আটকানোর কোনো চেষ্টা করেননি।
এর আগে ড. কামাল যতবার ইসিতে গিয়েছিলেন, প্রতিবারই গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। কিন্তু আজ মঙ্গলবার দুপুরের এই ঘটনার পর তিনি গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। তাঁর বদলে কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অন্য নেতারা।
এ বিষয়ে আজ বিকেলে সিইসির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সচিবকে প্রশ্ন করেন। সচিবকে প্রশ্ন করলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
ঐক্যফ্রন্টের নেতারা নির্বাচন কমিশনে গিয়েছিলেন সারা দেশে তাঁদের প্রার্থী ও নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার বিষয়ে অভিযোগ জমা দিতে। একই সঙ্গে তাঁরা চারজন পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের দাবি জানান। এই চার কর্মকর্তা হলেন—কেরানীগঞ্জের একজন সাব-ইন্সপেক্টর, ঢাকার ডিবি পুলিশের একজন ওসি এবং কুমিল্লার মুরাদনগর ও নাঙ্গলকোট থানার ওসি।
বৈঠকে থাকা একাধিক সূত্র জানায়, বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আব্দুল মঈন খান, গণফোরামের মহাসচিব মোস্তফা মোহসীন মন্টু তাঁদের প্রচারে হামলার বিবরণ দেন। ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনও বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। একপর্যায়ে সিইসি জানতে চান, কোথায় পুলিশ বাধা দিচ্ছে? পোস্টার ছিঁড়ে ফেলছে? তিনি তাঁকে সেখানে নিয়ে যেতে ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের বলেন। এ সময় তিনি পুলিশের ভূমিকার প্রশংসাও করেন।
এর জবাবে ড. কামাল সিইসির উদ্দেশে বলেন, ‘সিইসি বিচারকের ভূমিকায় থাকবেন। বিচারক সাক্ষ্য গ্রহণ করবেন। তিনি ডাকলে সাক্ষীরা তাঁর কাছে হাজির হবেন। অথচ আপনি তা না করে পুলিশের পক্ষ নিচ্ছেন।’
ড. কামালের এই কথায় বৈঠকে উত্তাপ ছড়ায়। একপর্যায়ে ড. কামাল হোসেন সিইসির উদ্দেশে হাতজোড় করে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা দিয়ে গেছেন। তাকে আপনি রক্ষা করেন। আপনি ৩/৪ দিনের মধ্যে কিছু একটা করেন।’
মির্জা আব্বাস সিইসির উদ্দেশে বলেন, ‘আমি কারও কাছে অভিযোগ নিয়ে যাই না। অন্যরাই আমার কাছে অভিযোগ নিয়ে আসে। আমি সালিস করি। আজ আমি নিজেই আপনার কাছে অভিযোগ নিয়ে এসেছি, কিছু একটা করেন।’
আব্দুল মঈন খান বলেন,‘ আমি তো কাউকে কিছু বলি না। ভদ্রলোকের মতো নির্বাচন করতে এসেছি। কিন্তু আমার সামনে আমার সেকেন্ডম্যানকে মেরে হাসপাতাল পাঠিয়ে দিয়েছে। বয়সের কারণে প্রতিরোধও করতে পারিনি।’
বৈঠক শেষে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘সিইসি কামাল হোসেনকে অ্যাটাক করে কথা বলেছেন। সিইসি আউটবার্স্ট করেছেন। পুলিশকে ডিফেন্ড করতে গিয়ে হি ওয়াজ রিয়েলি অ্যাগ্রেসিভ। কামাল হোসেনকে বলেছেন, “আপনি নিজেকে কী মনে করেন?” কামাল হোসেনকে অ্যাটাক করায় আমরা খুব আপসেট।’

গাঁজা খাওয়ার অনুমতি চেয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন ওই বিভাগের এক ছাত্র। লিখিত আবেদনপত্রে সে উল্লেখ করেছে- গাঁজা খুব ভালো জিনিস, তাই তাকে গাঁজা খাওয়ার অনুমতি দেয়া হোক।
সোমবার বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. আব্দুল মান্নান চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র কিশোর কুমার দাস এ আবেদন করে। তিনি ৪১তম ব্যাচের ছাত্র হলেও রিপিটার হয়ে ৪৩ ব্যাচের সঙ্গে ক্লাস করছেন। তিনি মওলানা ভাসানী হলের আবাসিক ছাত্র। তবে বর্তমান তিনি ক্যাম্পাসের বাইরে থাকেন।
বিভাগীয় সূত্রে জানা যায়, ওই ছাত্র বিভাগে একবার গাঁজাসহ ধরা পড়েন। তখন বিভাগ থেকে তাকে সতর্ক করা হয়। তারপরে সে বিভাগের সভাপতির কাছে গাঁজা খাওয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন করে।
এ বিষয়ে বিভাগের সভাপতি বলেন, কিশোর কুমার দাস আমার কাছে গাঁজা সেবনের অনুমতি চেয়ে লিখিত অনুমতি চেয়েছে। তবে আমি তার আবেদনটি প্রক্টরের বরাবর হস্তান্তর করেছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সিকাদার মো. জুলকারনাইন যুগান্তরকে বলেন, ‘পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে পরীক্ষার হলে তাকে গাঁজা সেবনরত অবস্থায় পাওয়া যায়। এমতাবস্থায় তাকে প্রক্টর অফিসে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সে আমাদেরকে বলেছে, ‘গাঁজা অনেক উপকারী। গাঁজা খেলে আমার পরীক্ষা ভালো হয়। তাছাড়া গাঁজা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। তাই আমাকে হয় গাঁজা খাওয়ার অনুমতি দিন, না হয় আমাকে শাস্তি দিন।’
প্রক্টর আরও বলেন, এরপর আমরা তাকে ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ বলে বুঝতে পারি। তাকে রিহাবে নেয়ার প্রস্তাব দিলে সে আমাদের ওপর আচমকা রেগে যায়। এজন্য প্রশাসনিক নিয়ম অনুযায়ী তার পুনর্বাসনের জন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তরের চিন্তা করছি।’
ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে ইভটিজিংয়ের অভিযোগ
এদিকে সোমবার ওই বিভাগের সভাপতির কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী কিশোর কুমার দাসের বিরুদ্ধে ইভটিজিংয়ের অভিযোগ দিয়েছে। পরে অভিযোগপত্রটি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়নবিরোধী সেলে পাঠানো হয়েছে।
অভিযোগপত্রে ওই ছাত্রী উল্লেখ করে ‘কিশোর কুমার দাস রোববার দুপুরে বিভাগের ছাদে আমাকে যৌন হয়রানিমূলক অশালীন কথাবার্তা বলে। এই ঘটনায় প্রতিবাদ করলে আমাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। এই অবস্থায় আমি বিভাগে যাতায়াতের জন্য অনিরাপদ বোধ করছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপিড়নবিরোধী সেলের পরিচালক অধ্যাপক রাশেদা আখতার বলেন, ওই ছাত্র মাদকাসক্ত। তার কথাবার্তা অসংলগ্ন। আমরা তাকে পুলিশে দেয়ার চিন্তা করছি

পাশাপাশি বাড়ির দুই পরিবার। দুই পরিবারের ছেলে-মেয়েতে বিয়ে হয়েছে। কিন্তু স্ত্রী তালাকের পর শাশুড়িকে বিয়ে করেছেন জামাতা। মাঝে দুই বছর প্রবাসে ছিলেন। সম্প্রতি গ্রামের বাড়িতে এসে বসবাস শুরু করলে বিব্রত স্বজনেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। যোগ দেন প্রতিবেশীরাও। বাধ্য হয়ে চেয়ারম্যান সালিস ডেকেছেন। রেখেছেন কয়েকজন মাওলানাকেও। তবে প্রচলিত গ্রাম্য সালিসের মতো শাস্তি ঘোষণা আর তা কার্যকর করার উদ্যোগ না নেওয়ায় ধাওয়া খেতে হয়েছে তাঁদের। কিন্তু সালিসকারী ব্যক্তিরা ছিলেন অনড়। বলেছেন, ইসলামের দৃষ্টিতে দোররা ও পাথর মারার মতো অপরাধ করেছেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। কিন্তু দেশের প্রচলিত আইনের বাইরে যাওয়ার সুযোগ কারও নেই। আইন হাতে তুলে নেওয়ার সুযোগ তাঁদের নেই। 

গত সোমবার এ ঘটনাটি ঘটেছে মাদারীপুর সদর উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়নের একটি গ্রামে (গ্রাম ও ঘটনার পাত্র-পাত্রীর নাম প্রকাশ করা হলো না)। 

সালিস বৈঠকে উপস্থিত ব্যক্তি এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় সাত বছর আগে পাশাপাশি বাড়ির দুই তরুণ-তরুণীর বিয়ে হয় পারিবারিকভাবে। তখন বরের বয়স ছিল ২৮, কনের ১৯। য়ের কিছু দিন পর শাশুড়ির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে জামাতার। ঘটনাটি স্ত্রীর নজরে এলে তিনি প্রতিবাদ করেন। এর জন্য তাঁকে মারধরও করা হয়। বিয়ের ছয়-সাত মাস পর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। অভিভাবকদের নিয়ে স্ত্রী-ই উদ্যোগ নেন তালাকের। 

এরপর ‘সাবেক শাশুড়ি’কে নিয়ে ঢাকা, মাদারীপুর ও রাজৈরে বসবাস শুরু করেন ‘সাবেক জামাতা’। সবশেষে রাজৈরে একটি ভাড়া বাসায় ‘সাবেক শাশুড়ি’কে রেখে সৌদি আরব চলে যান ‘সাবেক জামাতা’। দুই বছর সেখানে থাকার পর ২৫ দিন আগে তিনি দেশে ফেরেন। তাঁদের দাবি, ১৫ দিন আগে তাঁরা মাদারীপুরে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করেছেন। এক সপ্তাহ আগে তাঁরা গ্রামে ফিরে আসেন স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে। 

এলাকার বাসিন্দা হাবিব বেপারী সালিস বৈঠকে দাবি করেন, ইসলাম ধর্মমতে ও দেশের আইনে আপন শাশুড়িকে বিয়ে করা অবৈধ। তা ছাড়া শাশুড়ির বাবার বাড়িও পাশাপাশি। এ অবস্থায় তাঁরা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে এলাকায় এসে বসবাস করায় ছেলে-মেয়ে, পরিবারের লোকজন ও আত্মীয়স্বজন বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে। সালিসে ছেলের বাবাও তাঁর সন্তানের যেকোনো শাস্তি মেনে নেওয়ার কথা জানান।

যাঁদের বিরুদ্ধে সালিস, নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে তাঁদের বৈঠকস্থল থেকে একটু দূরে রাখা হয়। সালিসদারেরা সেখানে গিয়ে দুজনের বক্তব্য নেন এবং এসে উপস্থিত হাজারখানেক মানুষকে জানান। ভাষ্যটি এমন, ‘প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে আমার তালাকের মাধ্যমে বিচ্ছেদ হয়েছে দীর্ঘদিন আগে। আমার বর্তমান স্ত্রীও (সাবেক শাশুড়ি) তাঁর স্বামীকে তালাক দেন প্রায় একই সময়ে। এরপর তিনি চরমুগরিয়ায় একটি বিয়ে (হিল্লা বিয়ে) করেন। সেখান থেকেও তালাক নেন। এরপর অবৈধ নয় মনে করেই কাবিন রেজিস্ট্রি করে তাঁকে (সাবেক শাশুড়ি) বিয়ে করেছি। এখন বিচারে যা হয় আমি মেনে নেব।’

গ্রামের একটি খোলা জায়গায় ওই সালিসে উপস্থিত ছিলেন ইউপির চেয়ারম্যান মোতাহার চৌকিদার, সাবেক চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) সাহেব আলী, সুলতান মাতুব্বর, পল্লিচিকিৎসক সিরাজুল ইসলাম, হাবিব বেপারী। ঘটনার বিষয়ে ইসলামের বিধান সবার সামনে উপস্থাপনের জন্য আশপাশের এলাকা থেকে দাওয়াত দিয়ে আনা হয় হাবিবুর রহমান, নাসিরউদ্দিন, নূরুল আমিন, আনোয়ার হোসেন ও সাইফুল বাশারসহ কয়েকজন মাওলানাকে।

এরই মধ্যে লোকজন ‘শাশুড়ি-জামাতা’কে সালিসে উপস্থিত করে জবানবন্দি নেওয়ার জন্য কয়েক দফা মিছিল করে। কিন্তু সালিসদারেরা রাজি হননি। সাবেক স্ত্রী সালিসে বলেন, ‘ওরা দুজন যখন একসঙ্গে থাকত, তখন আমি প্রতিবাদ করলে আমাকে মারধর করত।’ তাঁর বড় বোন (২৮) বলেন, ‘আমরা দুই বোন ঢাকা থেকে এসেছি। ওই মহিলা (মা) আমার বোনকে মাইর‌্যা ফেলানোর চেষ্টা করছিল। এমনকি আমার ছোট দুই ভাইকেও মারার চেষ্টা করছে। আমার বাবা আজ মৃত্যুর পথে। আমারও বিয়ে হয়েছে পাশের বাড়িতে। আমরা কীভাবে মানুষের কাছে মুখ দেখাই? আমরা তাঁদের বিচার চাই।’

সালিসে সুলতান মাতুব্বর বলেন, ‘এলাকার লোকজন আমাদের ডেকে এনেছে। বিচার করার ক্ষমতা আমাদের নেই। আমরা মীমাংসা করতে পারি। বিচার করবে আদালত।’ 

আলেমদের মধ্য থেকে শাশুড়িকে বিয়ের বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন মাওলানা হাবিবুর রহমান ও মাওলানা আনোয়ার হোসেন। তাঁরা বলেন, ‘উপস্থিত মাওলানারা একত্র হয়ে কোরআন ও হাদিসের আলোকে বিষয়টি পর্যালোচনা করে তার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত জানাচ্ছি। স্বামী বা স্ত্রী বর্তমান থাকতে যেকোনো নারী বা পুরুষ পরকীয়ায় লিপ্ত হলে তার শাস্তি ইসলামে উল্লেখ আছে। আল্লাহ পাক স্পষ্টভাবে ১৪ জন লোকের মধ্যে বিয়ে হারাম করেছেন। এখানে দাবি করা হয়েছে, তিনি (পুরুষ লোকটির নাম ধরে) স্ত্রীকে তালাক দিয়ে শাশুড়ি বিয়ে করেছেন, স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করার পর ওই নারী আর তাঁর শাশুড়ি নন। কিন্তু এই যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয়। এই বিয়ে সর্ব অবস্থায় হারাম। তাঁরা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করা অবস্থায় আগে ও পরে যে অন্যায় করেছেন, তার জন্য তাঁদের শাস্তি পাওয়া উচিত। ইসলামের দৃষ্টিতে তাঁদের শাস্তি ‘রজম’। পরিস্থিতিতে হানাফি মাজহাবের রায় বা ফতোয়া অনুসারে এঁদের শাস্তি কমিয়ে সর্বনিম্ন তিন ও সর্বোচ্চ ৩৯ দোররাও কার্যকর করা যেতে পারে। কিন্তু আমরা যেহেতু বাংলাদেশের নাগরিক, সেহেতু দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি, সংবিধানের প্রতি আমরা সবাই শ্রদ্ধাশীল। তাই বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে তাঁদের বিচার করা যেতে পারে। আমাদের কারোই আইন হাতে তুলে নেওয়ার ক্ষমতা নেই। বিষয়টি ইসলামি দৃষ্টিতে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য আমাদের এই মজলিসে আনা হয়েছে। তাই আমরা এই ব্যাখ্যা প্রদান করেই বৈঠকস্থল ত্যাগ করলাম।’

এরপর সালিসের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান মোতাহার চৌকিদার বলেন, ‘আমরা ইসলামের দৃষ্টিতে ব্যাখ্যা শুনলাম। তাঁদের স্বামী-স্ত্রী সম্পর্কের বৈধতা নেই। আমাদের দেশে বিবাহ নিবন্ধনের ক্ষেত্রেও ইসলামি বিধিমোতাবেক ১৪ জন নারীকে বিয়ে করা হারাম। কিন্তু এঁদের কোনো শাস্তি দেওয়ার দায়িত্ব রাষ্ট্র আমাদের দেয়নি। তাই নিরাপত্তার কারণে তাঁদের এই সালিসে উপস্থিত করা হলো না। আমরা দুজনকে আইনের কাছে সোপর্দ করব।’ 

এ ঘোষণার পর উপস্থিত অনেকে ক্ষিপ্ত হয়ে মোতাহার চৌকিদারকে লাঠিসোঁটা নিয়ে তেড়ে আসে। চেয়ারম্যানের লোকজন পাল্টা ধাওয়া দিলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে মুরব্বিদের হস্তেক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। 
এলাকার বাসিন্দা হাবিব বেপারী বলেন, ‘আমরা এলাকাবাসী যে কতটা কষ্টের মধ্যে আছি, তা বাইরের কেউ উপলব্ধি করতে পারবে না। বিষয়টির সুরাহা না হলে এলাকায় অঘটন ঘটতে পারে।’
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কায়ুম আলী সরদার জানান, সালিস-বৈঠক ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার কথা শুনেছি। এলাকাটি দুর্গম। পুলিশ পাঠানো হয়েছে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রেমের ফাঁদে পড়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে এক গৃহবধূ। এ ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে চারজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।

গ্রেফতার আসামিরা হলেন প্রেমিক তানজিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পীরবাড়ির মো. শাহীন, পশ্চিম মেড্ডার ইসমাইল মিয়া, আশুগঞ্জের তালশহরের সহিদ মিয়া, সরাইলের রসুলপুর গ্রামের রুবেল মিয়া, স্বর্ণালংকারের ক্রেতা মজলিশপুরের সুভাষ দেবনাথ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বিরামপুরের এক প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে আখাউড়া উপজেলার রানীখার গ্রামের আবু মুসার ছেলে তানজিন ভূঁইয়ার। গত ৮ ডিসেম্বর ওই গৃহবধূকে ফুঁসলিয়ে একই উপজেলার নাটাই গ্রামের হিরণ মিয়ার বাড়িতে নিয়ে যায় সে। সেখানে তাকে ধর্ষণ করে তানজিন। এ সময় তাদের দেখে ফেলে আরো সাতজন। পরে তাদের হাতেও ধর্ষণের শিকার হয় ওই গৃহবধূ। এরপর তারা ধর্ষিতার স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করলে পুলিশ প্রেমিক তানজিনসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করে। এ সময় ওই গৃহবধূর স্বর্ণালংকারও উদ্ধার করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ওসি মো. কবির হোসেন বলেন, তানজিন পূর্ব পরিচিতদের মাধ্যমে সেখানে একটি বাসা ভাড়া নেয়। সেখানেই ধর্ষণের সময় অন্যরা ভয় দেখিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ওই বাসার মালিকের স্ত্রীকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

ছেলেটি ঝালমুড়ি বিক্রি করে। বাবা মো. মুসলিম একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী। হুইল চেয়ারেই যার নিত্য দিনের বসবাস। মা খাদিজা বেগম গৃহিণী। টানাপোড়েনের সংসার। নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা। তবে স্বপ্ন তার আকাশ ছোঁয়ার। হতে চায় পাইলট। উড়ে বেড়াতে চায় সারা বিশ্ব।

বলা হচ্ছে গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার ব্রাহ্মনগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী মো. আসিবের কথা। এবার পিএসসি পরীক্ষায় সে জিপিএ-৫ পেয়েছে। সবগুলো বিষয়েই এ প্লাস পেয়েছে আসিব। তার ইচ্ছা, বড় হয়ে সে পাইলট হবে।
তবে আগে থেকেই আনন্দের এই দিনটি অন্য সবার মতো উদযাপন করতে চেয়েছিল আসিব। তাই অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী আসিব সমাপনী পরীক্ষার পরই ঝালমুড়ি বিক্রি শুরু করেন। ওই সময়ই অন্যদের মিষ্টিমুখ করানোর জন্য জমান ১১০ টাকা।
জানা গেছে, আর্থিক সাহায্যের জন্য আসিবের মা তার বাবাকে হুইল চেয়ারে করে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যান। দারিদ্র্যতাকে জয় করা মেধাবী আসিব বাবা-মায়ের আগ্রহ এবং নিজের প্রচেষ্টায় পড়াশোনা করে এ ফলাফল অর্জন করেছে।
এদিকে এ ফলাফলে পরিবারের পাশাপাশি আসিবের শিক্ষকরাও প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন। তার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমাদের মেধাবী শিক্ষার্থী আসিব 'এ প্লাস' পেয়েছে। পাশপাশি আমাদের বিদ্যালয় থেকে ৫ জন 'এ প্লাস' ও ১৩ জন 'এ' সহ মোট ৩৫ জনের সবাই পাশ করেছে।
প্রধান শিক্ষক আরো বলেন, আমি আসিবসহ অন্য শিক্ষার্থীদেরও উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করছি। আসিব প্রমাণ করেছে পরিশ্রম করলে সাফল্য অর্জন করা যায়।
পরীক্ষার ফলাফলের পর উচ্ছ্বসিত আসিব বলেন, পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য দিন-রাত লেখাপড়া করেছি। রেজাল্ট শোনার পর খুব ভালো লাগছে। আমার মনের আশা পূর্ণ হয়েছে।
ভবিষ্যতের ইচ্ছা সম্পর্কে জানতে চাইলে আসিব মৃদু হেসে বলেন, আমি বড় হয়ে পাইলট হতে চাই। এজন্য আমার যত পরিশ্রম করতে হয়, আমি করবো। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
প্রসঙ্গত, একযোগে সোমবার প্রকাশ হয়েছে ২০১৮ সালের প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী এবং জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফলাফল। এতে ৩ লাখ ৬৮ হাজার ১৯৩জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।


সিলেট থেকে ঢাকায় ফিরেছে দুই দল। সঙ্গে এসেছে শর্ট বলের আলোচনাও। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের প্রথম তিন ব্যাটসম্যানসহ পাঁচ উইকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিয়েছিল শর্ট বলে। উইকেট খুব গতিময় বা পেস সহায়ক ছিল না। তবু কাজে লেগেছে ক্যারিবিয়ানদের পরিকল্পনা। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও যে কৌশল পাল্টাবে না, সেটি অনুমান করা যায় অনায়াসেই।
প্রথম ম্যাচের পরে শর্ট বল খেলার ব্যবচ্ছেদ করেছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ নিল ম্যাকেঞ্জি। বলেছিলেন, শর্ট বলে ভড়কে গিয়ে নয়, বরং পাল্টা জবাব দিতে গিয়েই গড়বড় করেছিল বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। দ্বিতীয় ম্যাচের আগে সেই একই কথার প্রতিধ্বনি সৌম্যর কণ্ঠে।
আগের ম্যাচে শর্ট বলে আউট হয়েছিলেন সৌম্য নিজেও। তিনিসহ বাকি চারজনই আউট হয়েছিলেন শর্ট বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে। আউট হলেও মেরে খেলার মনোভাবেই সৌম্য দেখছেন ইতিবাচকতা। ভয় নেই, আছে সাহস। স্রেফ সেই সাহসের প্রয়োগটা পরের ম্যাচগুলোয় দল দেখাতে চায় নিখুঁতভাবে।
“চিন্তার কিছু নেই। ওরা শর্ট বল করেছিল, আমরা দৌড়ে মারতে গিয়েছি। এটা সাহসের ব্যাপার যে শর্ট বলেও জোরে মারতে গিয়েছি। পিছিয়ে আউট হলে হয়তো বলা যেত যে ভয়ে আউট হয়েছি। যদি বুদ্ধি খাটিয়ে, আরেকটু চালাক হয়ে প্লেস করার চেষ্টা করে খেলতাম, তাহলে ভালো হতো।”
“শর্ট বল খেলা আসলে সাহসের ব্যাপার। আর টি-টোয়েন্টিতে শর্ট বলে শট খেলতেই হবে। নইলে স্কোরিংয়ের একটি অপশন কমে যাবে। আমরা শর্ট বলে অনেক উন্নতিও করেছি। শেষ কয়েক ম্যাচে আমরা শর্ট বলে তেমন আউট হইনি। আমাদের কন্ডিশনে বেশিরভাগ সময় স্পিন খেলি, হুট করে একজন গতিময় বোলারকে খেলতে গেলে শুরুতে একটু সমস্যা হতেই পারে। সেটিই আমাদের মানিয়ে নিতে হবে। ভয়ের কিছু নেই।”

নিজেদের প্রেগন্যান্সির খবর লুকিয়ে রেখেছিলেন এই ফিল্ম ও টেলি তারকারা



মাতৃত্ব! অদ্ভুত এক অনুভূতি। একজন নারী যেন পূর্ণতা পায় সন্তান জন্মদানের মাধ্যমে। মাতৃত্ব মানেই নারীর এক নতুন জন্ম যা তাকে দেয় সৃষ্টির আনন্দ। প্রতিটা মহিলাই জীবনের এই সুন্দর মুহূর্তটিকে উপভোগ করতে চান, বলিউডের সেলিব্রিটিরাও এর ব্যতিক্রম নয়! তবে কিছু সেলিব্রিটি আছেন যাঁরা স্বচ্ছন্দে তাঁদের গর্ভাবস্থাকে লুকিয়ে রেখেছেন, তাঁদের শিশুর জন্মের পরেই আনন্দের খবর জানতে পেরেছিলেন সকলে। 

সানি লিওনকেও ছাড়িয়ে গেলেন প্রিয়া

এটি আসলেই অদ্ভূত এক চাহনি। কাজল কালো চোখের সঙ্গে নাচে তার ভ্রু। প্রিয়া প্রকাশের চোখ মারার ভিডিও নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। এরপর আরো একটি ভিডিও দিয়েও মাত করেছেন নেট দুনিয়া। পরের টিতে আঙ্গুল দিয়ে গুলি করার ভঙ্গিতে চুম্বন পাঠান প্রিয়া। এই ভিডিওটিও ভাইরাল হয়ে যায়। এক ইশারায়ই স্কুল জীবনের প্রেমের অনেক ঘটনাই দর্শকদের মনে করিয়ে দিয়েছেন এই মালয়ালাম অভিনেত্রী।
প্রিয়া অভিনীত প্রথম মালায়ালাম সিনেমা ওরু আদার লাভ। এই সিনেমার মুক্তিকে সামনে রেখে গত ফেব্রুয়ারিতে ইউটিউবে ‍মুক্তি পায় এর প্রথম গান ‘মানিক্য মালরায়া পুভি’। তারপরের ঘটনার সাক্ষী ইন্টারনেট প্রজন্ম। ঝড়ের বেগে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে ভারতের দক্ষিণী সিনেমার এ অভিনেত্রীর অভিনীত ভিডিও ক্লিপ।
চোখের ইশারা আর হাসির জাদুতে মুগ্ধ হন দর্শক। ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার, ইনস্টাগ্রামসহ সবখানেই ভাইরাল হন এ অভিনেত্রী। সেই সুবাধে ভারতে গুগলে সবচেয়ে বেশি খোঁজা ব্যক্তির তালিকায় সানি লিওনকে সরিয়ে শীর্ষ স্থান দখল করেছেন তিনি।
বুধবার প্রকাশিত গুগলের এই তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার স্বামী মার্কিন সংগীতশিল্পী নিক জোনাস। তারপরেই আছেন ড্যান্স পারফর্মার স্বপ্না চৌধুরী। চতুর্থ অবস্থানে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। পঞ্চম স্থানে অভিনেত্রী সোনম কাপুরের স্বামী আনন্দ আহুজা।
সিনেমার দিক থেকে ভারতে গুগলে সবচেয়ে বেশি খোঁজা হয়েছে রজনীকান্ত ও অক্ষয় কুমার অভিনীত টু পয়েন্ট জিরো। তার পরেই আছে বাঘি-টু ও রেস-থ্রি। এছাড়া তালিকায় শীর্ষ পাঁচের মধ্যে আছে অ্যাভেঞ্জার্স : ইনফিনিটি ওয়ার ও ব্ল্যাক প্যান্থার।

টাইটানিক’র নায়িকা কেট যেসব ছবিতে নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করেছেন


ডিজাস্টার রোমান্টিক চলচ্চিত্র ‘টাইটানিক’ মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯৭ সালে। এই সিনেমার পরিচালক, লেখক ও সহ-প্রযোজক হলেন বিখ্যাত মার্কিন চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব জেমস ক্যামেরন। মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন লিওনার্ডো ডিক্যাপ্রিও (জ্যাক ডসন) ও কেট উইন্সলেট (রোজ ডিউইট বিউকেটার)। এই ছবিতে আলোড়ন তুলেছিল উইন্সলেটের নগ্ন দৃশ্য।

শুধু এখানেই নয়, আরও অনেক ছবিতেই নগ্ন দৃশ্যে আলোড়ন তুলেছেন কেট। জেনে নেওয়া যাক সেই ছবির নাম ও ছবির দৃশ্য।

‘হেভেনলি ক্রিচার্স’-এটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯৪ সালে।

‘জুড’-এই ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯৬ সালে।

‘হাইডিয়াস কিনকি’-এটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯৮ সালে।

‘হোলি স্মোক’-এই ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯৯ সালে।

‘কুইল্স’-এটি মুক্তি পেয়েছিল ২০০০ সালে।

‘আইরিশ’-এই ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ২০০১ সালে।

‘লিটল চিল্ড্রেন’-এটি মুক্তি পেয়েছিল ২০০৬ সালে।

‘দ্য রিডার’-এই ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ২০০৮ সালে।

ভোলায় নৌকার প্রচারণায় হামলা


ভোলা-২ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় বিএনপি প্রার্থীর সমর্থকরা হামলা চালিয়েছে। এসময় আওয়ামী লীগের পাঁচটি নির্বাচনী অফিস ভাংচুর, ২০টি মোটরসাইকেল ও পাঁচটি মাইক্রোবাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
রোববার সকালে বোরহানউদ্দিনের হাকিম উদ্দিন লঞ্চঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় জানান, সকালে ভোলা-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী হাফিজ ইব্রাহিম ঢাকা থেকে লঞ্চযোগে বোরহানউদ্দিনের হাকিম উদ্দিন লঞ্চঘাটে আসেন। কিন্তু তিনি আসার আগেই লঞ্চঘাট এলাকায় ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের গণসংযোগ চলছিল।
এসময় বিএনপির সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সেলিমের নেতৃত্বে একদল নেতাকর্মী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর ওপর হামলা চালায়। এসময় ২০টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে ফেলা হয়। উদয়পুর রাস্তার মাথা এলাকায় ৫টি আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অফিস ও ৫টি মাইক্রোবাস ভাংচুর করা হয়।
এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রতিরোধ গড়ে তুললে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়। এদের মধ্যে গুরুতরদেরকে বোরহানউদ্দিন হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এছাড়া সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়া হয়। মারধর করা হয় প্রথম আলোর সাংবাদিক নেয়ামতউল্যাহ, এনটিভির সাংবাদিক আফজাল হোসেনকে।
অপর দিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিএনপির প্রার্থী হাফিজ ইব্রাহিম ঘাটে এসে পৌঁছলে পুলিশের নিরাপত্তায় তার বাসায় গিয়ে পৌঁছেন।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী আলী আজম মুকুল সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করেন বিএনপির প্রার্থী দীর্ঘদিন পর এলাকায় আসায় শান্তির জনপদ অশান্ত হয়ে উঠেছে। তিনি কয়েক শত বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে এলাকায় প্রবেশ করেন। বোরহানউদ্দিন আসার আগেই দৌলতখানে লঞ্চ থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়।
এঘটনার জন্য আলী আজম হাফিজ ইব্রাহিমকে দায়ী করেন।
বিএনপির প্রার্থী হাফিজ ইব্রাহিম সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি শুনেছেন বোরহানউদ্দিনে নেতাকর্মীরা লঞ্চঘাটে জড়ো হলে তাদের ওপর প্রতিপক্ষের লোকজনের হামলায় ১২ জন আহত হয়েছেন।

বোরহানউদ্দিন থানার এসআই মোহাইমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, তারা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আগুনে পোড়া মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে। তবে এখনো কেউ মামলা করেনি।

প্রথম ছবিতেই সাইফকন্যার বাজিমাত

গত ৭ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে অভিনষেক কাপুর পরিচালিত সারা আলি খানের প্রথম ছবি ‘কেদারনাথ’। ছবিটি বক্স অফিসে সাড়া ফেলেছে। পাশাপাশি সারা আলি খানের অভিনয় মন জয় করে নিয়েছে সকলের। মাত্র ৭ দিনে সারা-সুশান্তের ‘কেদারনাথ’ ছবিটি ৪৫ কোটি টাকার ব্যবসা করে ফেলেছে। 
যা রজনীকান্ত-অক্ষয়কুমারের বিগ বাজেট সিনেমা ২.০- এর বক্স অফিস কালেকশনের থেকেও বেশি। ২.০ গত সপ্তাহে ব্যবসা করেছে ৩৯ কোটি টাকা। 
সিনেমাতে সাইফকন্যা এক হিন্দু পরিবারের মেয়ে লতার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। মা-বাবার সামনে শান্ত শিষ্ট থাকলেও দু’চোখে দুষ্টু-মিষ্টি ভাবও রয়েছে।
অন্যদিকে সুশান্ত অভিনয় করেছেন মুসলিম ছেলে মাসুরের চরিত্র। হিন্দু-মুসলিম সম্পর্ক। সেই সঙ্গে কেদারনাথের প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এগুলোকে কেন্দ্র করে এগিয়ে যাবে সিনেমার চিত্রনাট্য।

কেদারনাথের সাফল্যের পর এবার সাইফ-অমৃতা কন্যা সারার পরবর্তী ছবি ‘সিম্বা’ এখন মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। সারার এই সাফল্যে ভীষণ খুশি গোটা পতৌদি পরিবার। মা অমৃতা সিং তো বটেই, এমনকি সারার সাফল্যের উদযাপন বাড়িতে একটি বড়সর পার্টির আয়োজন করেছেন সৎ মা কারিনাও। 

আব্রাম হিন্দু না মুসলিম সময় বলে দেবে

আব্রাম হিন্দু না মুসলিম সময় বলে দেবে বাংলা সিনেমার তারকা দম্পতি শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের ছেলে আব্রাম হিন্দু ধর্ম অনুসরণ করবে নাকি মুসল...

MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget